যোগাসন করলে কি হয় :-
প্রাচীনকালের মুনি ঋষিগণ ভগবানের আরাধনায় প্রথমে কৃচ্ছসাধনকে বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও অনেকেই সিদ্ধ পুরুষ হতে পারেননি। কারণ শরীর যদি নীরোগ ও কর্মক্ষম না হয় তবে কোনোকাজে সিদ্ধিলাভ হয় না। তাইতো ভগবান বুদ্ধকে সুজাতা নামক চণ্ডালিনীর চারু খেতে হয়েছিল। ওই সব মুনি ঋষিগণ তখন থেকে শরীরকে নীরোগ ও কর্মক্ষম করতে শুরুকরে। মূলত মাংসপেশির পুষ্টি সাধনের জন্য যৌগিক ব্যায়াম ও আসন করার দরকার। যৌগিক ব্যায়াম দেহের ভিতরের গ্রন্থিগুলিকে এবং অন্যান্য শরীরের ভিতরের পেশীগুলিকে সবল ও পুষ্ট করে। যোগাসনে বা যোগ ব্যায়ামে আমাদের শাসন যন্ত্রটি অধিকতর নিয়ম নিষ্ঠা, নিশ্চয়তা, শিঙ্খলাবদ্ধ করে তোলে। যা অন্য কোনো ব্যায়ামে হয়না। তাই যোগাসন ছোট-বড়ো সকলের করা উচিত।
কেন যোগাসন করব :-
আমাদের শরীরের সুষুন্মাকাণ্ডের বিভিন্ন অংশে মোট ৩১ জোড়া স্পাইনালক্ড আছে তা মস্তিষ্ক ছাড়া শরীরের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে। আর মস্তিষ্ক হল এই স্নায়ুমন্ডলীর কেন্দ্রস্থল। সেখান থেকেই পরিচালিত হয় মাংসপেশী ও বিভিন্ন অঙ্গ পতঙ্গের কাজ। এই স্নায়ুগুলির মূল আবার মেরুদণ্ডে অবস্থিত। মানুষের জীবন ও যৌবন শক্তিও এই মেরুদণ্ডের নমনীয়তা ও সবলতার উপর নির্ভর করে। কারণ মেরুদণ্ডে যদি ঠিকমতো রক্ত চলাচল না করে তাহলে তাদের স্নায়ুগুলি দুর্বল হয়ে পড়বে, তাই বিশ্বের প্রায় সকলেই এই মেরুদন্ডকে সবল করতে সচেষ্ট হয়েছেন।এই যোগাসনের মাধ্যমে মুরুদন্ডকে সবল ও সুদৃঢ় রাখা যায়। রোধ করা যায় জরা ও অকাল বার্ধক্যকে। 'বুদ্ধদেব' বেঁচেছিলেন ৮১ বছর। তার শরীর দেহত্যাগের সময় ২৯ বছরে যেমন ছিল ৮১ বছরেও তেমন ছিল। যুগ পুরুষ 'বাবা লোকনাথ ব্রম্মচারী' ১৬০ বছর বয়েসে পরধামে যান কিন্তু তার শরীরের বাঁধন একই ছিল। বর্তমান কালের 'মনোহর আইচকে' দেখুন ১০০ বছরের পরও তার দেহের মাসল এখনও সবল।
আসুন, এইসব জানার পর আমরা সকলে মিলে অঙ্গীকার বদ্ধ হয়ে যোগাসন শুরু করি ও সকলকে সুস্থ থাকার জন্য যোগাসনের প্রচার করি। avigyanbangla ওয়েবসাইট এ এইরকম ভালো ভালো তথ্য পেতে ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।
0 মন্তব্যসমূহ